![]() |
ছবি- প্রতিকী |
মহা শক্তিধর দেশ হিসেবে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদ প্রায় নিশ্চিত করে ফেললো ভারত। এই মুহূর্তে নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচটি দেশের হাতে স্থায়ী সদস্যপদ আছে। দেশগুলো হলো আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং চিন। একমাত্র চিন বাদ দিলে বাকি চারটি দেশকেই পাশে পেতে চলেছে ভারত। রাশিয়া এখনো প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, ভারতীয় কূটনীতিকদের ধারণা, Mosco কে পাশে পেতে সমস্যা হবে না।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচ স্থায়ী সদস্যের পাশাপাশি দশটি দেশের অস্থায়ী সদস্যপদ থাকে। অস্থায়ী প্রতিনিধিদের দু'বছরের জন্য নির্বাচন করা হয়। সর্বশেষ ভারত অস্থায়ী সদস্য পদ পেয়েছিল ২০২০ এবং ২০২১ সালের জন্য।
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই স্থায়ী সদস্য পদের দাবি জানিয়ে আসছিল। আজ রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতের দাবির বিষয়টি উল্লেখ করে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মের দ্যার্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন, ভারতের দাবি যথার্থ এবং ব্রিটেন এই দাবিকে সমর্থন করে। সাধারণ সভার বৈঠকে এর আগেই ফ্রান্স এবং আমেরিকা ভারতের পক্ষে সওয়াল করায় ভারতের অনুকূলে সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশের সমর্থন পাওয়া নিশ্চিত হলো।
সুতরাং চিন বিরোধিতা করলেও ভারতের রাস্তা তারা আটকাতে পারবে না। কারণ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব গুটারেজ ইঙ্গিত দিয়েছেন, বর্তমান বিশ্বে ক্ষমতার সমীকরন অনেকটাই বদলে গেছে সুতরাং নতুন করে রাষ্ট্রসংঘের কাঠামো পরিবর্তনের সময় এসেছে।
উল্লেখ্য, দিন তিনেক আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত গবেষণা সংস্থা "Lowy Institute Think Tank" তাদের গবেষনা পত্রে জানিয়েছিল, ভারত এই মুহূর্তে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ সামরিক শক্তি। তারা এটাও উল্লেখ করেছিল, গত ছয় বছরে দেশগুলির সামরিক, কূটনৈতিক এবং বিশ্বে রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা পর্যালোচনা করেই তারা দেখেছে এই মুহূর্তে আমেরিকা এক নম্বর , চিন দ্বিতীয়, ভারত তৃতীয়, জাপান চতুর্থ এবং রাশিয়া পঞ্চম শক্তিধর দেশ। গবেষণা পত্রে এও বলা হয়েছিল, বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব আরও বাড়বে কারণ এব্যাপারে সেই সম্ভাবনা এবং সক্ষমতা দুটোই তাদের আছে।
©Somu Saha
Post a Comment
0Comments